শিরোনাম
রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
মাঠ নিয়ে আলোচনায়

সেই ইউএনওকে এক দিনের ব্যবধানে দুই স্থানে বদলি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

খেলার মাঠ নিয়ে আলোচনায় আসা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগমকে এক দিনের ব্যবধানে দুুই স্থানে বদলি করা হয়েছে। তাকে প্রথমে পাশর্^বর্তী উপজেলা মদনে বদলি করা হয়। এর এক দিন বাদে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. খবিরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইউএনও মাহমুদা বেগমকে কেন্দুয়ার পাশের উপজেলা মদনে বদলি করা হয়েছিল। ঠিক এর এক দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব কে এম আল-আমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। ইউএনওর বদলিজনিত তথ্যটি গতকাল জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং কেন্দুয়া ইউএনওর কার্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চলমান কার্যক্রমের গত বছর কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল গ্রামে ১ একর ৮৭ শতক জমির মধ্যে খেলার মাঠের ৪৬ শতক জায়গা কান্দা শ্রেণিতে পরিবর্তন করেন। এরপর সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে মাহমুদা বেগম আলোচনায় আসেন। এদিকে মাঠ রক্ষায় এলাকাবাসীসহ ঢাকা ময়মনসিংহে মানববন্ধন করে পরিবেশবাদী আন্দোলন নামের সংগঠন। এ নিয়ে প্রশাসন এবং গ্রামবাসীর একাংশের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দুর্বৃত্তরা গত ২ জুন রাতে ঘরের গাঁথুনি ভেঙে দেয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ইউএনও তার কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও মাহমুদা বেগম আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ কয়েকজনকে দোষারোপ করেন। এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে তিনি এসব জেনেছেন বলে উল্লেখ করেন। সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবি তিনি করেন।

এ ছাড়াও তিনি সংবাদ সম্মেলনে, অজ্ঞাত আসামি করে অনেককে মামলা দিয়ে আটক করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বক্তব্যের ভিডিও দৈনিক সংবাদ ও ডেইলি অবজারভারের উপজেলা প্রতিনিধি হুমায়ূন কবীর নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ইউএনও ওই সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। এরপর জেলা প্রশাসক কারণ দর্শানোর নোটিস দেন।  পরবর্তীতে ১৯ আগস্ট বলাইশিমুল ঈদগাহে ইউনিয়নের ২৮ গ্রামের বাসিন্দাদের বৈঠকে ইউএনও মাহমুদা বেগমকে বলাইশিমুল ইউনিয়নে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর