মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পি কেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পি কেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু

পি কে হালদার

৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ শুনানি শুরু হয়। এদিন আদালতে মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। দুদকের পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয়। এরপর কারাগারে থাকা চার আসামির মধ্যে অবন্তিকা বড়াল ও সুকুমার মৃধার পক্ষে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানি শেষ হয়। অন্য দুই আসামি শংখ বেপারী ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে অব্যাহতির আবেদন আংশিক শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। এরপর অসমাপ্ত চার্জ শুনানির জন্য ৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই এ মামলার পলাতক ১০ আসামিকে হাজিরে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তির কপি আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলির আদেশ দেন। মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক। তারা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতীশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। চার্জশিটভুক্ত অন্য চার আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তারা হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়- পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন; যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর