শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে কোনো সবজির কেজি ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ-সবজি-মাংস চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। দরিদ্র মানুষ প্রতিদিনের খাদ্যপণ্য কিনতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রেতারা এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৪০-৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এ কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১০০-১১০ টাকা। তার আগে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ডিমের দাম ডজন ওঠে ১৬০ টাকায়। এরপর গত সপ্তাহে ডিমের দাম কমে প্রতি ডজন ১২০ টাকায় হয়েছে। বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি এসেছে। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০, কাঁচা পেঁপে ২০-২৫ ও পটোল ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি    হচ্ছে। কচুরলতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর মুরগির কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় উঠেছিল। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সোনালি মুরগির কেজি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০-৪৬০ টাকা। আর ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কই মাছের কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি। মাছের মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০-১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর