শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে বর্ণিল পাখি মিউজিয়াম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে বর্ণিল পাখি মিউজিয়াম

দেশের অন্যতম আধুনিক এবং তথ্যনির্ভর দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের ‘পাখি মিউজিয়াম’টি সবার নজর কেড়েছে। উপ-মহাদেশের দুর্লভ প্রজাতিসহ বিভিন্ন পাখির সংগ্রহশালা হওয়ায় মিউজিয়ামটি ঘিরে  মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। পাখির প্রাকৃ?তিক পরিবেশে বসে থাকার আদলে তৈরি করা মমিগুলো চার দশক ধরে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহ সংরক্ষিত রয়েছে সেখানে। যা শিক্ষানুরাগী, পাখিপ্রেমীসহ উৎসুখ মানুষের মনের চাহিদা মিটাতে সক্ষম। আবার গবেষণার বিষয়বস্তুও এই মিউজিয়ামটি। শিক্ষার্থী ছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য এই পাখি মিউজিয়াম উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন স্তরের পাখিপ্রেমীরা।

দিনাজপুর বিশপ হাউজের মিশনারিজের দায়িত্বে থাকা ধর্মযাজক ও সৌখিন প্রকৃতিবিদ মি. গিওভ্যানি বারবে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯টি বর্গের ১৫৫টি পাখির মমি সংরক্ষণ করেন। বিদায়বেলা তিনি ১৯৮৬ সালের ৪ জানুয়ারি দিনাজপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করেন। যা বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম সমৃদ্ধকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

দিনাজপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের এই আধুনিক এবং তথ্যনির্ভর ‘পাখি মিউজিয়াম’টি সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আঙ্গিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হচ্ছে বলে জানান প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম আল আবদুল্লাহ। তিনি জানান, মি. গিওভ্যানি বারবে ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারির ধর্মযাজক ও সৌখিন প্রকৃতিবিদ। দিনাজপুরে মিশনারি পরিচালিত শহরের সেন্ট জোসেফ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালক ছিলেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব পাখি সংগ্রহ করে মমি করেন এবং মিশনারির বিশপ হাউজে স্থাপিত ট্যাক্সিডার্মি মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করেন। পরে বদলিজনিত কারণে দিনাজপুর তথা বাংলাদেশ থেকে মি. গিওভ্যানি বারবে বিদায়বেলায় পাখির মমিগুলো দিনাজপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে হস্তান্তর করেন। এরমধ্যে দুর্লভ প্রজাতির মদনটাক, টিয়া, সারস, পেঁচা, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির পাশাপাশি মেমল ও সরিসৃপ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর