শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভুয়া ওয়ারেন্টে ১৩ দিন কারাবাস

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

কাতার প্রবাসী শিপন মিয়াকে দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট আদালতে শিপনের নামে কোনো মামলাই নেই। একটি চক্র ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরি করেছে; যার মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ওই ভুয়া ওয়ারেন্ট যাচাই-বাছাই না করেই ২৬ আগস্ট শিপনকে গ্রেফতার করে। দুটি ভুয়া মামলায় ১৩ দিন কারাবাসের পর গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। মৌলভীবাজার ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক তাকে জামিন দেন। শিপন মিয়ার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ইসলামনগর গ্রামে। আদালত জানান, যে ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করা হয় সেই মামলা ভুয়া ছিল। পুলিশ কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ফলে তাকে কারাবাস করতে হয়েছে। শিপন মিয়া বলেন, বিয়ের ১০ দিন পর পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্টে আমাকে গ্রেফতার করে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অনেক অনুরোধ করেছি, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে গ্রেফতার দেখানোর জন্য। তিনি আমাকে সময় না দিয়ে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন। এতে আমি সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছি। ক্ষতিপূরণসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম সিরাজী বলেন, সদ্য দেশে আসা শিপন মিয়াকে কুলাউড়া থানা পুলিশ যে ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেফতার করে, সেই মামলার এজাহার, এফআইআর ও চার্জশিটে আসামির নাম ও ঠিকানা নেই। সিলেটে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে খোঁজ নিয়ে এ ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি মো. আবদুছ ছালেক বলেন, আদালতের মাধ্যমে পুলিশ সুপার কার্যালয় ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট সংশ্লিষ্ট থানায় আসে। এখানে যাচাই করার সুযোগ থাকে না। বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর