সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে

----- শিবলুল আজম কোরেশী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে

গণমাধ্যমে দেশ সম্পর্কে যে কোনো নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়গুলো নিয়ে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যে কোনো বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে গিয়ে এটিকে অধিক আতঙ্কের বিষয়ে পরিণত করা যাবে না। একই সঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। দেশের পর্যটনশিল্পের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরেশী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকদের কাছে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার মূল দায়িত্ব সরকারের। এ জন্য সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আর সরকারের এই সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে হলে বিদেশি মিশনগুলোর কমার্শিয়াল উইংকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। সরকারকে এই কমার্শিয়াল উইংকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে হবে।

শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, দেশের পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থানগুলো নিয়ে যথাযথ প্রচার নেই। মানুষ যখন জানবে যে দেশের কোথায় কী ধরনের দর্শনীয় স্থান আছে তখনই সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। আবার বাংলাদেশ নিয়ে বহির্বিশ্বে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এক ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে        পারে, হোলি আর্টিজান ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে এত বেশি আলোচনা ও মাতামাতি হয়েছিল, এরপর বিশ্বের কোনো কোনো দেশের নাগরিকদের কাছে বাংলাদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু সরকার হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে দমন করেছিল। কিন্তু এ বিষয়টি সেভাবে প্রচার হয়নি। এ ঘটনার দুই বছর পর আমি যখন জাপানে যাই তখন সেখানকার ব্যুরোক্র্যাটরা আমাকে জানান যে, তারা বাংলাদেশে পর্যটক পাঠাতে চান, কিন্তু জাপান সরকার বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে তার নাগরিকদের জন্য ইয়েলো অ্যালার্ট দিয়েছে। এর অর্থ আমাদের পররাষ্ট্র দফতর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, যার জন্য দেশে জঙ্গিবাদের ঘটনা দমন করা হলেও বাংলাদেশের ব্যাপারে অন্য দেশ তখনো ইয়েলো অ্যালার্ট তুলে নেয়নি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় জায়গা করতে হবে। আর ইতিবাচক প্রচারণাও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা মহামারির কারণে বেশ কিছু দেশের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ছিল। এই বিধিনিষেধ মাত্র দেড়-দুই মাস আগে তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ আরও আগে তুলে নেওয়া যেত। এই অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা দরকার। আরও অধিক সংখ্যক দেশকে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ই-ভিসার প্রচলন করা দরকার। কারণ অন অ্যারাইভাল ভিসার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।

সর্বশেষ খবর