মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সেই জজ মিয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আলোচিত জজ মিয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাই কোর্টে। এতে জজ মিয়ার ঘটনা তদন্তে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আবদুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে বিবাদী করা হয়েছে। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এ ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলায় দলের নেতা-কর্মীসহ ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় ‘জজ মিয়া’ নামের ওই যুবককে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেয় সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে ওই ঘটনা তদন্তের উদ্যোগ নেয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে জজ মিয়া দাবি করেন, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার জবানবন্দি আদায় করা হয়। ওই ঘটনায় পাঁচ বছর তিনি কারাগারে ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর