ঢাকার ধামরাইয়ে চার মুরগি ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতরা। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাল সিএনজির পাশে তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে গ্রামের ভিতরের একটি রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ব্যবসায়ীদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলেন এবং ডাকাতদের আটকের পর জনতা গণধোলাই দেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের স্থানীয় সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদে আটকিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকালে। জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর থেকে মুরগি ব্যবসায়ী সোহাগ, রমজান আলী মিঠুসহ চারজন মুরগি কেনার জন্য সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর যাওয়ার জন্য একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে রওনা হন।
গাড়িটি নবীনগর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস গাড়ির গতিরোধ করে এবং নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে। এরপর মহাসড়কের ধামরাইয়ের পাল সিএনজির পাশে ফাঁকা স্থানে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি ও মারধর করে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তাদের। এ সময় তারা ডাকাত ডাকাত চিৎকার করে। উপায় না পেয়ে ডাকাতদের ব্যবহৃত গাড়িটি জয়পুরা সোমভাগ সড়কের গ্রামের ভিতর ঢুকে যায়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে মাইক্রোবাসটিকে ধাওয়া দেয় এবং ধরে ফেলে। গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলেও জনতা তাদের আটকিয়ে গণধোলাই দেয়। পরে অবস্থা বেগতিক হলে স্থানীয় সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকিয়ে রাখা হয় ডাকাতদের। এ সময় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওয়াদ হোসেন ধামরাই থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। ডাকাতদের নাম- হিরা (২৫), নুর ইসলাম (২২), শওকত হোসেন, রুবেল ও রিয়াজুল ইসলাম বলে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাকাতদের পুরো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল চন্দ্র সাহা জানান, ডাকাতদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
