শিরোনাম
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পাঁচ শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ধরা চার চোর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনে কেউ ভ্যানচালক, কেউ ডাব বিক্রেতা, কেউবা সবজি বিক্রেতা। রাতে তারাই হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ ডাকাত কিংবা গ্রিল কাটা চোর। সারা দিন ঘুরে ঘুরে বাসা রেকি করে তারা। পুলিশ বলছে, বাসা রেকি করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে এই চক্রের সদস্যরা। প্রথমে ধনী শ্রেণির মানুষদের বাসা চিহ্নিত করা হয়। পরে কয়েকদিন ধরে ওই বাসায় কখন লাইট নেভানো হয়, শেষবার কবে বারান্দায় কাপড় নাড়া হয়েছে, এসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়। কয়েকদিন বারান্দায় কাপড় না নাড়া হলে, চোর চক্রের সদস্যরা বুঝে যায়, বাসাটির বাসিন্দারা অন্য কোথায় রয়েছে। তখনই টার্গেট ফাইনাল করে চুরির ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গত ২০ আগস্ট রাজধানীর কলাবাগানের লেকসার্কাস ডলফিন গলির একটি বাসায় ৭২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তে ৫০০ এর অধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়।

সোমবার কলাবাগান ও আদাবর এলাকা থেকে চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. সোহেল, ফরহাদ, ইলিয়াচ শেখ ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার। তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন এবং চুরি হওয়া তিন ভরি সোনা ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল গ্রেফতার চারজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই শামিম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, কলাবাগান থানায় মামলা হওয়ার পর নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চোর চক্র গ্রেফতারের জন্য কাজ করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চোর চক্রের সদস্য সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচ। আর আনোয়ার চোরাই সোনা কিনেছিল। এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারা সবাই একাধিক মামলার আসামি। দিনের বেলা ছদ্মবেশ ধরে অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও, রাতে ভয়ংকর হয়ে উঠতো। এদের অস্ত্রগুলো সবই বিদেশি। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সবকিছু সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর