শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
মাদক পাচার প্রতিরোধ

একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একসঙ্গে কাজ করবে। মাদকের বিষয়ে এক দেশ অন্য দেশকে সার্বিক সহায়তা করবে। গতকাল এ বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে উভয় দেশ। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মাদকদ্রব্য ও সাইকোট্রপিক সাবসট্যান্সের অবৈধ পাচার রোধে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি পঞ্চম             দ্বিপক্ষীয় সভায় এসব বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) এবং মিয়ানমারের সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোল বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল ডিএনসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে আরও বেশি আলোচনা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সময় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মিয়ানমারও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দুই দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সীমান্ত পথে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ প্রতিরোধে উভয়দেশ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এ ছাড়া সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্য বহন প্রতিরোধে উভয় দেশের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়েও একমত পোষণ করা হয়।

ভার্চুয়ালি দ্বিপক্ষীয় সভায় ডিএনসির মহাপরিচালক আবদুল ওয়াহাব ভূঞার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএনসি, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক, কাস্টমসের প্রতিনিধিসহ ২০ জন অংশ নেন। এ ছাড়া মিয়ানমারের পক্ষে সেন্ট্রাল কমিটি ফর ড্রাগ অ্যাবিউজ কন্ট্রোলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন নেইংয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য অংশ নেন। মিয়ানমার স্বাগতিক দেশ হিসেবে সভাটির আয়োজন করে। করোনার কারণে সভাটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনসি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। তাই মিয়ানমারের সঙ্গে এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের একটা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ সম্পর্কের আড়ালে মাদক চোরাকারবারিরা ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল ও মেরিটাইম বাউন্ডারি ভূকৌশলগত কারণে মাদক চোরাকারবারিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে আজকের (গতকাল) সভায় সীমান্ত পথে মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। পরবর্তী ষষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২০২৩ সালে বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর