শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

৩ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য শাস্তি বদলি!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহসহ চার জেলার দায়িত্বে থাকা মৎস্য বিভাগের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী ঠিকাদারি কাজ দেওয়ার নাম করে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া পুকুর খনন বাবদ অনেক এক্সকেভেটর (ভেকু) মালিক তার কাছে টাকা পাবেন। জানা গেছে, সোহেল আহমেদ নামের এই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর লাগামহীন দুর্নীতির কারণে ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য বিভাগ গত দুই বছর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। এদিকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের একাধিক মামলা করেছেন ঠিকাদাররা। সোহেল আহমেদের দায়িত্ব ছিল ঝিনাইদ জেলার ছয় উপজেলায় স্কিম করা ও গৃহীত প্রকল্পসমূহ তদারকি করা। কিন্তু তিনি তার সরকারি দায়িত্বের সীমা লঙ্ঘন করে ঠিকাদারিতে জড়িয়ে পড়েন। পুকুর খননের প্রকল্পগুলো ঠিকাদারের কাছ থেকে নিয়ে তিনিই করে গেছেন। মৎস্য সেক্টরে তার এই একচ্ছত্র দৌরাত্ম্য দেখে চার জেলার ঠিকাদাররা কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ তাকে নাটোরে বদলি করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের শাস্তি শুধু বদলি! ঝিনাইদহ ছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কুষ্টিয়ায় তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হলেও বদলি ছাড়া তার কোনো শাস্তি হয়নি। ঝিনাইদহের সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও বর্তমান যশোরের বিল বাঁওড় প্রকল্পের পরিচালক আলফাজ উদ্দীন শেখ জানান, সোহেলের বিষয়ে একাধিক চিঠি সে সময় মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হলেও ত্বরিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের বিষয়ে সোহেল আহমেদ বলেন, তিনি ইতোমধ্যে অনেকের টাকা ফেরত দিয়েছেন। চেক ডিজঅনারের মামলা যারা করেছেন তাদের সঙ্গেও তার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তিনি সময় নিয়েছেন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে বহু লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু আমার কিছুই হয়নি, ডিপার্টমেন্ট আমার পক্ষে আছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর