শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বামীকে মুক্ত করতে বাদী সেজে আদালতে অবশেষে কারাগারে স্ত্রী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বামীকে জামিনে মুক্ত করতে আদালতে নিজেকে বাদী পরিচয় দিয়ে বিচারকের কাছে ধরা পড়লেন রুখসানা আক্তার নামে এক নারী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার বিকালে সিরাজগঞ্জ পারিবারিক আদালতে ঘটনাটি ঘটেছে। আদালতের বিচারক সহকারী জজ মো. লোকমান হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আটক রুখসানা কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাব্বির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জহিরুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে রুখসানা আক্তারকে বিয়ে করেন। দেনমোহর ও খোরপোষ দাবি করে প্রথম স্ত্রী রুবিনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিচারক লোকমান হাকিম আসামি জহিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার রুখসানা আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে মামলার বাদী রুবিনা হিসেবে পরিচয় দেন এবং আপসের কথা বলে তার কারাবন্দি স্বামীকে জামিনে মুক্ত করার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান তিনি। শুনানিকালে বিচারক সহকারী জজ মো. লোকমান হাকিম বাদীর স্বাক্ষরের সঙ্গে মামলার কাগজ ও অন্যান্য নথির স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখেন। এ অবস্থায় স্বাক্ষরে গড়মিল দেখা দেওয়ায় তাকে ও তার কথিত দেবরকে জেরা করে বেশ কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য পান। পরে স্থানীয় সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জহিরুলের দুই শিশু সন্তানকে আদালতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হন যে তিনি মামলার বাদী রুবিনা নন। তার আসল নাম রুখসানা আক্তার। বিচারক মো. লোকমান হাকিম পরে আসামি জহিরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং রুখসানা আক্তারের নামে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় বেঞ্চ সহকারী সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজিপুর আমলি আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার আইনজীবীদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে, তারা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা  ঘটাবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

 

 

সর্বশেষ খবর