বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানিকে শ্রদ্ধা জানাল আড়াই লাখ মানুষ

প্রতিদিন ডেস্ক

ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানিকে শ্রদ্ধা জানাল আড়াই লাখ মানুষ

জাতীয় পর্যায়ে শোকের সময় শেষ। তবে ব্রিটিশ রাজপরিবারে আরও এক সপ্তাহ শোক পালন করা হবে। এ সময় সরকার বলেছে, লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ‘লাইং ইন স্টেট’ বা কফিনে শায়িত থাকা অবস্থায় সেখানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ শোকার্ত মানুষ। ৭০ বছরেরও বেশি সময় সিংহাসনে আসীন থাকা অবস্থায় মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সোমবার তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান ও সর্বশেষ সমাহিত করার নজরকাড়া অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ছিল লন্ডনে। এদিন ব্রিটেনের ইতিহাসে এ যাবৎ দেখা যায়নি, এমন অন্যতম সর্ববৃহৎ সামরিক পদযাত্রার (প্রসেশন) আয়োজন করা হয়। খবর রয়টার্সের। গতকাল পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। যেসব সড়ক দিয়ে রানির কফিন বহন করা হয়েছে, সেসব সড়কে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে গাড়ি। কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন অফিসে। লন্ডনের রাস্তাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ দিন পুরো দেশে স্বাভাবিকতা ছিল স্থগিত। তারপর গতকাল শোক প্রকাশের ইতি ঘটে। কিন্তু রাজপরিবার আরও এক সপ্তাহ শোক পালন করবে। এ সময় রাজকীয় বাসভবনগুলোতে পতাকা থাকবে অর্ধনমিত। ব্রিটেনের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী মিশেল ডোনেলেনের মতে, রানির কফিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত অবস্থায় থাকার পর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মন্ত্রীর দফতর টেমস নদীর দক্ষিণ তীরসহ মাইলের পর মাইল দীর্ঘ জনতার লাইন আয়োজন করে। তবে তার দেওয়া এই সংখ্যা চূড়ান্ত নয়। মিডিয়ার খবরে বলা হয়, এই লাইনে অংশ নিয়ে শ্রদ্ধা জানানো মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। তবে এ সংখ্যাকে ‘মিডিয়ার আন্দাজ’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ওদিকে ২০০২ সালের এক ব্রিফিং নোটে হাউস অব কমন্স জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের কফিনে এভাবে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৩৬০ জন মানুষ। চার্চিল মারা গিয়েছিলেন ১৯৬৫ সালে। আর কুইন মাদারকে ২০০২ সালে এভাবে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।

সর্বশেষ খবর