পটুয়াখালীর দশমিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সহিদুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে দশমিনা থানা-সংলগ্ন এএসআইয়ের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার জানান, তার বাসায় দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলম তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। বিয়ের পর থেকে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়ই দুশ্চিন্তা ও পাগলামি করতেন সুমি। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও লাভ হয়নি। তবে সহিদুল তার স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ছিলেন ও পারিবারিক কলহ তাদের মধ্যে ছিল না। হঠাৎ করে গভীর রাতে সুমি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে সুমির স্বামী ও থানার পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার জানান, সুমির শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি (তদন্ত) অনুপ দাস বলেন, এএসআই সহিদুলের পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না।
তার স্ত্রী এমনটা কেন করেছেন, তা জানতে পারিনি।