শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুই প্রতিষ্ঠান ও ১৮ গুণী শিল্পীকে শিল্পকলা পদক

অপসংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

দুই প্রতিষ্ঠান ও ১৮ গুণী শিল্পীকে শিল্পকলা পদক

শিল্পকলায় গতকাল ১৮ গুণী শিল্পীকে শিল্পকলা পদক প্রদান করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে অনুপ্রবেশ করা ভিনদেশি অপ্রয়োজনীয়, বিজাতীয় অপসংস্কৃতির সবকিছু বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শিল্পকলা পদক, ২০১৯ ও ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদক প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশে তৃণমূল পর্যায়েই উদ্যোগ নিতে হবে। তাই তাদের সুস্থ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। সংস্কৃতির চর্চা তৃণমূল, বিশেষ করে পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর কার্যক্রম এখন ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলায় সম্প্রসারিত হয়েছে। আবদুল হামিদ বলেন, মুজিব শতবর্ষ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন কার্যক্রম দেশে-বিদেশে বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং তাঁর শিল্প ও সংস্কৃতি ভাবনা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের যুবসমাজকে আধুনিক, দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। গ্রাম থেকে শহর, নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রতিটি স্তরে সংস্কৃতির চর্চা যত বেশি হবে সমাজও তত বেশি আলোকিত হবে। আর আলোকিত সমাজই পারে মানবিক সমাজ গড়তে এবং একটি দেশ ও জাতির কাক্সিক্ষত সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে।

অনুষ্ঠানে দুটি প্রতিষ্ঠান ও ১৮ গুণী শিল্পীকে প্রদান করা হয় শিল্পকলা পদক। শিল্প ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘শিল্পকলা পদক, ২০১৯ ও ২০২০’প্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন- নাট্যকলায় মাসুদ আলী খান ও মলয় ভৌমিক, কণ্ঠসংগীতে হাসিনা মমতাজ ও মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় আবদুল মান্নান ও শহিদ কবীর, চলচ্চিত্রে অনুপম হায়াৎ ও শামীম আখতার, নৃত্যকলায় লুবনা মারিয়াম ও শিবলী মহম্মদ, লোকসংস্কৃতিতে শম্ভু আচার্য ও শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসংগীতে মো. মনিরুজ্জামান ও মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে এম এ তাহের ও আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, আবৃত্তিতে হাসান আরিফ (মরণোত্তর) ও ডালিয়া আহমেদ। দুটি প্রতিষ্ঠান হলো সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও দিনাজপুর নাট্য সমিতি। পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে প্রদান করা হয় একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও ১ লাখ টাকার চেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। পদক প্রদান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন বরেণ্য ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা।

শিল্পকলায় কালিদাস

 

সর্বশেষ খবর