শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ বিএনপির

দমিয়ে রাখা যাবে না : মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, গত ১৫ বছর অনেক চেষ্টা করেও বিএনপিকে দমাতে বা দুর্বল করতে পারেননি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই, যাদের নামে মামলা নেই। তবুও কেউ দল ছেড়ে যাননি। বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকেই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। সময় আর বেশি দিন নেই, জনগণের সামনেই আপনাদের বিচার হবে। 

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ ব্রিজের ঢালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৭ নম্বর জোন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, ফজলুল হক মিলন, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

গত কয়েক দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা বাঁশের লাঠি ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পের মাথায় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীকে বলতে চাই- আপনাদের চিহ্নিত করে রাখছি। সময় বেশি দিন নেই, জনগণের সামনে আপনাদের বিচার হবেই। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেক হয়েছে আর নয়। একজন নেতা-কর্মীর ওপরও হামলা করবেন না। যারা বলে বিএনপিকে রাজপথে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারাই ভয় পেয়ে আপনাদের বিএনপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছেন। তারা নিজেরাই পালানোর জায়গা পাবে না। সুতরাং এখনই সাবধান হন।

ড. মোশাররফ বলেন, এদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম এত বেশি, যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। নিজেদের দুর্নীতির কারণে এসব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের নেই। তিনি বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবি, দুই বেলা দু’মুঠো খাবারের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাই মিলে রাজপথে নামলেই এ সরকারের পতন অনিবার্য।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। অন্যায়, দুশাসন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আমরা এক হয়েছি। সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেই মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, কোথায় সেই গণতন্ত্র? কেন গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা চলছে? কেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে? এসব করে আর কোনো লাভ হবে না। সরকারকে অবশ্যই গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হবে। 

 

 

 

সর্বশেষ খবর