খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে তাকেই পিতৃপরিচয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক আঃ সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ ব?লেন, ২০০৯ সালে ধর্ষণের ঘটনায় যে সন্তান জন্ম নেয়, তার বয়স এখন ১২ বছর। সে খুলনার একটি সরকারি স্কুলে পড়ে। আদালত আসামি, ভুক্তভোগী নারী ও ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার পর তার পরিচয় শনাক্ত হয়। রায়ে আসামি রফিকুল ইসলামকে ওই শিশুর পিতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জানা যায়, আসামি রফিকুল ইসলাম ও ভিকটিম নগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে আসামি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম ঢালীকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভিকটিম। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।