সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ট্রফি ভাঙা ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ প্রশাসনের যে কজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ড করার অভিযোগ উঠেছে, এর প্রতিটি ঘটনার পৃথক তদন্ত হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শুক্রবার আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে আবাসিক জুনিয়র একাদশ ও রেপারপাড়া বাজার একাদশ দল মুখোমুখি হয়। খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলায় সমাপনী বক্তব্যে এবং পুরস্কার বিতরণ করার একপর্যায়ে ইউএনও জনসাধারণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রফি ভেঙে ফেলেন। এতে উপস্থিত দর্শকরা ইউএনওর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এর আগেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সর্বশেষ আলীকদমের ইউএনও এমন ঘটনা ঘটালেন। এসব বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আমরাও আপনাদের মতো শনিবার বিষয়টি জেনেছি। বান্দরবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিটি ঘটনার পৃথক তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসব ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রতিটি ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরাও চাই এ ধরনের ঘটনা না ঘটুক। বান্দরবানের পেছনে কী ঘটনা ছিল সেটি কিন্তু জানি না। সুতরাং প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এটি বলা যাবে।’

আলীকদমের ইউএনওর কর্মকান্ডকে অপরাধ মনে করছেন কি না- জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার পক্ষে মন্তব্য করা কঠিন। প্রতিটি ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে, না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা ইসলাম) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটাও তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আজকের (রবিবার) মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব। প্রতিটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এ কমিটিগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন।’

পটুয়াখালীর গলাচিপায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দায় কী সরকার নেবে- এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘যদি ব্যক্তির দায় থাকে, তাহলে তো সরকার দায় নেবে না। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে যদি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা করব।’

সর্বশেষ খবর