মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
হাজারীবাগের বিস্ফোরণ

পা হারানো দিলীপসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগে মেট্রো এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস ডিপোতে বিস্ফোরণে পা হারানো দিলীপসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যজন হলেন- আবদুল হালিম (৩৮)। এদের মধ্যে দিলীপকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর হালিম ও দগ্ধ হওয়া আরেক শ্রমিক শ্রী মারসেল ট্রুডুকে (২০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এর আগে গত রবিবার দিবাগত    রাতে বিস্ফোরণের পরে দগ্ধ ও আহত অবস্থায় তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে তাদের ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, হালিমের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথা, মুখমণ্ডল, বাম হাতসহ শরীর ও দুই পায়ে আঘাত রয়েছে। আর মারসেলের দুই পায়ে ও ডান হাতে আঘাত রয়েছে। বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দিলীপকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হালিম ও দিলীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত মারসেল জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কচুয়া কাজীপাড়া গ্রামে তার বাড়ি। হাজারীবাগ বউবাজার বালুর মাঠ এলাকায় থাকেন তিনি। মেট্রো এক্সপ্রেস নামে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। রাতে একটি কাভার্ডভ্যান থেকে মালামাল নামিয়ে অফিসের ভিতরে রাখছিলেন তারা। গাড়িটিতে কেমিক্যালের ড্রাম ছিল। সেগুলো দিলীপ ও ইলিয়াস নামিয়ে অফিসের ভিতর রাখার মুহূর্তেই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইলিয়াস। দিলীপসহ পাশে থাকা হালিম ও মারসেল আহত হন। নিহত ইলিয়াসের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মূত্রদীঘি গ্রামে বলে জানা গেছে। আর আহত আবদুল হালিমের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। বর্তমানে বউবাজার এলাকায় থাকেন তিনি।

এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান জানান, কেমিক্যাল থেকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি কী ধরনের কেমিক্যাল সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। তবে কী মামলা এবং কে বাদী হবেন সে বিষয়ে জানাতে পারেননি তিনি। এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর