শিরোনাম
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রেমিকাকে পেতে স্ত্রীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সালাম ও তার মামাতো বোন শিরিন আক্তার একই বিস্কুট কারখানায় চাকরি করতেন। একই অফিসে চাকরি করার সুবাদে এবং পরস্পর আত্মীয় হওয়ায় তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক রূপ নেয় প্রেমে। এই প্রেমের সম্পর্কের মধ্যেই ৯ মাস আগে স্মৃতি নামে এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে সালাম। কিন্তু বিয়ের পরও মামাতো বোন শিরিনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে যায় তার। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় পরকীয়ায়।

তাই প্রেমিকাকে পেতে সালাম পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে বিষপানে হত্যা করার, আর তাকে সহযোগিতা করে তার প্রেমিকা শিরিন। এ ঘটনায় সালাম, তার প্রেমিকা শিরিন, কথিত জিনের মা বৃষ্টিকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঘাতক সালাম ও নিহত স্মৃতির ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। তাদের দুজনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরে। তারা তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া এলাকায় থাকত। বিয়ের আগে সালামের সঙ্গে তার মামাতো বোন শিরিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক পরকীয়ায় রূপ নেয়। তারা দুজনই তেজগাঁওয়ের একটি বিস্কুট কারখানায় কাজ করত। এ সুযোগে স্মৃতিকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সালাম-শিরিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সালামের বাসার আরেক ভাড়াটিয়া কথিত জিনের মা বৃষ্টির কাছ থেকে দুধে মন্ত্র পড়িয়ে এনে স্মৃতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ জন্য দুই বোতল দুধ কিনে বৃষ্টির বাসার ফ্রিজে রাখে সালাম।

গত রবিবার সালাম ও শিরিন পরিকল্পনা বদলে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্মৃতিকে পান করায়। এরপর সালাম  কাজে চলে যায়। পরে স্মৃতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্মৃতির বাবা মো. কামাল মিয়া বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সালামকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার কাকনহাট এলাকা থেকে ও শিরিনকে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার নাবিস্কো এলাকা থেকে এবং কথিত জিনের মাকে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

সর্বশেষ খবর