রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

আজ মহাসপ্তমী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মহাসপ্তমী

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পূজামন্ডপ - জয়ীতা রায়

চন্ডীপাঠ, বোধন ও দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গতকাল ছিল মহাষষ্ঠী। ষষ্ঠী তিথি শেষে সপ্তমী গত রাত ৯টা ৭ মিনিটে শুরু হয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে শেষ হবে। এ সময়ে নবপত্রিকা প্রবেশ ও সপ্তমী পূজা শুরু হবে। পূজা শেষে পুণ্যার্থীরা উপবাস পালন করে অঞ্জলি দেবেন।

ষষ্ঠীতে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এখন পূজার ধুম। রংবেরঙের পোশাক পরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমিয়েছে মন্ডপগুলোয়। সন্ধ্যায় ঢাকের তালে আরতির জন্যও রয়েছে আলাদা প্রস্তুতি।

গতকাল রাজধানীর গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনে পূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শ্রীশ্রীবরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী দেবী দুর্গার পূজা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় সবুজবাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তমীতেও নানা আয়োজনে মুখর থাকবে মন্দিরপ্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস। জমকালো আয়োজনে বসুন্ধরা সর্বজনীন পূজামন্ডপে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। সন্ধ্যার  আলোকচ্ছটায় রুপালি রঙের আবেশে নজরকাড়া রূপ নিয়েছে মন্ডপপ্রাঙ্গণ। করোনা মহামারির তীব্রতা কমে আসায় প্রাণ ফিরেছে শারদীয় দুর্গাপূজায়। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের হিসাবে এ বছর সারা দেশের ৩২ হাজার ১৬৮ মন্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। রাজধানীতে ২৪২ মন্ডপে পূজা হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে মন্দিরপ্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে নি-িদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও ঢাকা মহানগরী সর্বজনীন পূজা কমিটি। সারা দেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পূজা উদ্যাপন নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন কমিটির নেতারা। গতকাল ধর্মীয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম’ (আরআরএফ)-এর নেতাদের সঙ্গে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সনাতন ধর্মের নেতারা এ আহ্বান জানান।

আরআরএফ সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মহসীনুল করিম লেবু, সাবেক যুগ্মসম্পাদক মুহাম্মদ নঈমুদ্দিন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগরী সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথ ও সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, উপদেষ্টা জয়ন্ত সেন দীপু, মহিলা সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী ও সদস্য দীপালি চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হিসেবে আলাদা করে পরিচিত হতে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ চিন্তা-চেতনা বাহাত্তরের সংবিধান পরিপন্থী।’ অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কাজ করলেও মোট জনসংখ্যার তুলনায় তা খুবই কম। এ বৈষম্য দূর করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর