বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

উন্নয়ন কাজের প্রচারে গুরুত্ব

শাহীন চাকলাদার, আওয়ামী লীগ

উন্নয়ন কাজের প্রচারে গুরুত্ব

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, স্থানীয়ভাবে দলকে শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলের যশোর সদর, যশোর পৌর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মণিরামপুর, চৌগাছা উপজেলার কাউন্সিল শেষ হয়েছে।

কেশবপুর, শার্শা ও চৌগাছা বাকি আছে। আগামি জানুয়ারির মধ্যেই সব উপজেলার কাউন্সিল শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। শাহীন চাকলাদার বলেন, দলীয় কাউন্সিলের পাশাপাশি আমরা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারে জোর দিচ্ছি। প্রচারণার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সেল গঠনের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যশোর জেলায় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে একটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু সংগঠনকে শক্তিশালী করার স্বার্থে আমরা সবাইকে এক জায়গায় করতে সক্ষম হয়েছি। দলীয় গ্রুপিং সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যশোর আওয়ামী লীগে ওইরকম গ্রুপিং নেই। বিষয়টি এমন নয় যে, ওনার (যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ) সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, কথা হয় না। আমরা তো একসঙ্গে বসেই মিটিং করি। বিরোধী দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে শাহীন চাকলাদার বলেন, মাঝে মধ্যে তারা (বিএনপি) যশোরে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করছে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সমাবেশ করবে করুক। কিন্তু সমাবেশের নামে যদি জ্বালাও পোড়াও হয়, আবার ১৪ সালের মতো মানুষ হত্যা হয়, তাহলে যশোরের ৮ উপজেলার কোথাও ওরা দাঁড়াতে পারবে না। আমি বা আমার সংগঠন মাঠে নামলে যশোরে মানুষের ঢল নেমে যাবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমি যদি চাই যে ৩০ দিনই প্রোগ্রাম হবে, তাহলে ৩০ দিনই যশোর শহরভর্তি লোক থাকবে। বিএনপি যদি আবার লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষ মারা শুরু করে, আমরা তো গোলাপ ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো না, এটাতো সম্ভব না। লাঠি আনলে আমি বাড়ি থেকে বের হতে দেবো না একটাকেও। শাহীন চাকলাদার বলেন, বর্তমান সরকার এতো উন্নয়ন করেছে যা ১০০ বছরেও কোন সরকার করতে পারবে না। আমার নির্বাচনী এলাকা কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নে আর মাত্র ১৫/১৬টি রাস্তার কাজ বাকি আছে। শিগগিরই এগুলোর টেন্ডার হয়ে যাবে। এ রাস্তাগুলো হওয়ার পর পুরো কেশবপুরের রাস্তাগুলো দেখলে মনে হবে কোন জেলা শহরের রাস্তা।  তিনি বলেন, এখন আমাদের দেশে কোন হরতাল নেই, অবরোধ নেই। বিদেশীরা বিনিয়োগ করছে। তাই মানুষ এই সরকারের পক্ষে। এইজন্য মানুষ ওদেরকে ভোট দেবে না। সে কারণেই ওরা ভোট চায় না। এখন বলছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা ভোট করবে না, করতেও দেবে না। কিন্তু ভোট তো হবেই, ওরাও ভোটে আসবে। যদি না আসে, তাহলে জিন্দেগীতে আর ভোটের মাঠে যেতে পারবে না। ওদের দলও আমার বিশ্বাস ৭/৮ ভাগ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর