বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ডুবল মালয়েশিয়াগামী ট্রলার

তিন লাশ ও জীবিত ৪৫ জন উদ্ধার

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে জোয়ারের পানিতে বাহারছড়া সৈকতে ভেসে এসেছে তিন নারীর লাশ। তারা মারা যাওয়া রোহিঙ্গা নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারে শতাধিক যাত্রী ছিল। ট্রলারে থাকা ৩১ জন গতকাল সকালে সাঁতারে টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে ফিরে আসেন। পুলিশ ও উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানান, মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে।

উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পের দোস মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে একটি বড় জাহাজ অপেক্ষা করছিল। ওই জাহাজে ওঠানোর কথা  বলে তিন দিন আগে দালাল চক্র শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে উখিয়ার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া, টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্প থেকে গাড়িতে তুলে টেকনাফের বাহারছড়া গ্রামে নিয়ে আসে। সোমবার মধ্যরাতে বাহারছড়া সৈকতের বাইন্যাপাড়া ও হলবনিয়া এলাকা দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে একটি ট্রলারে ওঠানো হয়। সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারটি দুলছিল, কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় কিছু রোহিঙ্গা প্লাস্টিকের গ্যালন, কাঠের তক্তায় ভেসে ও সাঁতরে উপকূলে উঠতে সক্ষম হন। এর মধ্যে চারজন স্থানীয় দালাল ও আটজন নারী। চার দালাল হলেন, ঈদগাহ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ আহমদের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (২০), মহেশখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রশিদের ছেলে কুরবান আলী (২৪), মহেশখালী কুতুবজুমের করিম উল্লাহর ছেলে মো. সেলিম (২৪) ও টেকনাফ সাবরাং কাটাবনিয়ার মৃত হাসানের ছেলে শহিদুল্লাহ (২৮)।

সর্বশেষ খবর