শিরোনাম
বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

শাখাসড়ক ও অলিগলিতে দুর্ভোগ চরমে

------ প্রফেসর শাহ সাজেদা

শাখাসড়ক ও অলিগলিতে দুর্ভোগ চরমে

কয়েকটি মূল সড়ক ছাড়া বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের সর্বত্র শাখাসড়ক ও অলিগলির দুরবস্থার কারণে জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা। তার মতে, ব্যস্ততম এলাকাগুলোর ফুটপাত অবৈধ দখল, লাইসেন্সবিহীন হাজারো যান, যানজট, জলাবদ্ধতা, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের দৌরাত্ম্য, শিক্ষাবাণিজ্য ও আবাসিক এলাকায় শিল্পের দূষণে নগরবাসীর জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের একজন নির্বাচিত মেয়র আমূল অবকাঠামো উন্নয়ন করবেন বলে যে প্রত্যাশা নগরবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল, তা উপেক্ষিতই রয়ে গেল। নগরবাসীর দুর্ভোগ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে সরকারি বিএম কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, গত চার বছরে সিটি করপোরেশন প্রধান কয়েকটি সড়ক নির্মাণ করেছে। অন্য প্রায় সব শাখাসড়ক ও অলিগলি ভাঙাচোরা। জনগণ চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। খাল-ড্রেন-নর্দমাগুলো ময়লার ভাগাড় হয়ে গেছে। বর্ষায় পানি নামে না। একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পড়েন নগরবাসী। সামাজিক আন্দোলনের নেতা শাহ সাজেদা বলেন, রাস্তায় বের হলে লাইসেন্সবিহীন ছোট-বড় হাজার হাজার অবৈধ যানবাহন। চালকদের অধিকাংশ ট্রাফিক আইন জানেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। এর পরও দিব্যি চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতায় ঝুঁকি নিয়েই অবৈধ যানে পথ চলতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তিনি বলেন, ব্যস্ততম ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর ফুটপাত অবৈধ দখলে থাকায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। প্রধান সড়কের মার্কেট ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় যত্রতত্র যান রেখে বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে। চিকিৎসাসেবার বিষয়ে শাহ সাজেদা বলেন, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল ও সদর রোডে দালালরা ওতপেতে থাকে। গ্রামাঞ্চলের রোগীরা প্রতারিত হয়ে ফিরে যান। পুলিশ প্রশাসন চাইলেই দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পারে। শহরের আবাসিক এলাকায় থাকা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অনবরত পরিবেশের দূষণ ঘটালেও তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় স্থানান্তরের দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই।

সর্বশেষ খবর