বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনে অংশ নিলে সবই পাবে বিএনপি

------ কিবরিয়া স্বপন

নির্বাচনে অংশ নিলে সবই পাবে বিএনপি

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেছেন, পেশিশক্তি  ও পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা-মামলা যতই দেওয়া হোক আমরা রাজপথে থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করব। তিনি বলেন, ফরিদপুর বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি। আমরা গত দুই মাস আগে আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব পেয়েছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে জেলা পর্যায় ছাড়াও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। সবার মতামত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। যে কোনো সময়ের তুলনায় বিএনপি ফরিদপুর জেলায় সুসংগঠিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতিই প্রমাণ করে বিএনপি আগের তুলনায় অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে নতুন নতুন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচি আমরা পালন করছি। তবে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও পুলিশের কারণে অনেক সময় আমরা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছি। তারপরও কর্মসূচি সফল করতে পিছপা হইনি। কিবরিয়া স্বপন বলেন, বর্তমান সরকারকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে আমরা সব সময় রাজপথে আছি। কয়েক দিন আগে কয়েকটি প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলাও দিয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে হাজারো মামলা রয়েছে। অনেকেই এখন সেই মামলায় জেলে রয়েছেন। আমরা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে রয়েছি বলেই আমাদের ওপর হামলা আর মামলার ঘটনা বাড়ছে।

আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যত হামলাই আসুক না কেন, যত মামলা দেওয়া হোক না কেন- আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। ক্ষমতাসীন দল আগামীতে যে ভাষায় কথা বলবে, যেভাবে মোকাবিলা করবে প্রয়োজনে আমরা তাদের পথ অনুসরণ করব। তরুণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ফরিদপুর জেলা বিএনপির কোনো কমিটি ছিল না। ফলে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়ার পর দলের নেতা-কর্মীরা এখন বেশ চাঙা। আমরা দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসছি। তাদের মতামত নিচ্ছি। প্রতিটি উপজেলার নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। আগামীতে সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি আসবে সেখানে দলের ত্যাগী নেতারা যাতে স্থান পায় সে ব্যবস্থা চলছে। দলের মধ্যে গ্রুপিং প্রশ্নে কিবরিয়া স্বপন বলেন, বিএনপি বড় দল। এই দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। দলে কোনো গ্রুপিং নেই। তবে কারও মধ্যে মনঃকষ্ট থাকতেই পারে। আমরা সবাইকে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে বিএনপির অবস্থা কি এমন প্রশ্নের জবাবে কিবরিয়া স্বপন বলেন, আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। তারপরও আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। ফরিদপুরের চারটি আসনেই বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে জেলার চারটি সংসদীয় আসনই বিএনপির দখলে থাকবে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলা হচ্ছে বিএনপির অন্যতম ঘাঁটি। তাছাড়া গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর যে স্টিমরোলার চালাচ্ছে। যে লুটপাট চালাচ্ছে, দিনের ভোট রাতে নিয়েছে এর জবাব ব্যালটের মাধ্যমেই দেবে জনগণ।

সর্বশেষ খবর