শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ বড় দল গ্রুপিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই

------- অ ন ম খায়রুল আনম চৌধুরী, আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ বড় দল গ্রুপিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই

জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ ন ম খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর যতই অত্যাচার হোক সব সময় আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত। বহুদিন পর্যন্ত কাউন্সিল না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে প্রত্যেক থানায় কাজ চলছে, টিম গঠন করা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে থানা কাউন্সিল করা হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তিনি বলেন, এমপিদের মধ্যেও কিছুটা সমস্যা আছে, তবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যেহেতু সবাই এমপি হতে চায়। দলীয় গ্রুপিংয়ের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, যেহেতু বড় দল আওয়ামী লীগ কিছুটা দলাদলি আছেই, তবে সবাই আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেউ আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাবে না। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজ চলছে, নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কিছুই চিন্তা করে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা দেবে আমরা তার জন্য কাজ করব। তিনি আরও বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ বড় দল কিছুটা গ্রুপিং ও প্রতিযোগিতা তো থাকতেই পারে। তিনি বিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি, বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, একরাম চৌধুরীর নেতৃত্বে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা সুসংগঠিত। তিনি ইতোমধ্যে বিশাল সমাবেশ করে তা দেখিয়ে দিয়েছেন। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেছেন, নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কোনো গ্রুপিং নেই। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্মেলন করা হয়ে গেছে। থানাগুলোতেও সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ২০০৮ সালে নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনটিতে বিএনপিকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আসনটি পুনরুউদ্ধার করেছি। পর্যায়ক্রমে আমি তিন বারের সংসদ সদস্য হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগসহ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলকে সাজিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে দলকে সাজিয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আবারও শক্তিশালী করার জন্য দলীয় সব নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে ইতোমধ্যে আমি নোয়াখালী সদর ও সূবর্ণচরে দুটি বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। হাজার হাজার নেতা-কর্মীসহ প্রায় লক্ষাধিক লোকজন এ প্রতিবাদ মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তা দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র করুক তারা সফল হবে না। বিএনপি আন্দোলনের নামে লাঠি নিয়ে মাঠে নামছে। বিএনপিকে রাজনীতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী যাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ‘মা’, আমরা তার সন্তান হিসেবে তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করব। বিগত সময় মাঠে ছিলাম, বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব, ইনশা আল্লাহ।

সর্বশেষ খবর