শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্ব ইজতেমা শুরু ১৩ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারির কারণে পরপর দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী জানুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে টঙ্গীতে। প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি। সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ইজতেমার আয়োজন করা হবে।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, এবার কভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০২৩ সালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ইজতেমা করতে গিয়ে মতবিরোধ চলছিল এবং এখনো আছে। মতবিরোধ নিরসনে এর আগে দুই ভাগে ইজতেমা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম, সেভাবে তারা সম্পন্ন করেছেন। এক দলের নেতা হলেন মাওলানা জুবায়ের আহমদ, অন্য দলের নেতা হচ্ছেন মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। তারা দুজনই আগে একসঙ্গে তাবলিগ করতেন। তাদের সবাইকে আমরা দাওয়াত দিয়ে এনেছিলাম। ইজতেমা যাতে সুসম্পন্ন ও সুন্দরভাবে হয় সেই অনুরোধ করেছিলাম। পাশাপাশি আরও অনুরোধ রেখেছিলাম, আপনারা দুজন এক হয়ে সিদ্ধান্ত দেন- কে আগে করবেন, কে পরে করবেন। কিংবা একসঙ্গে করতে পারবেন কি না? তারা একমত হতে পারেননি। আমাদের ওপর সিদ্ধান্তের ভার দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কোনো কিছু পরিবর্তন করব না। গতবার যেভাবে হয়েছে, এবারও ঠিক সেভাবে ইজতেমা সুসম্পন্ন করবেন। তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্তে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। জুবায়ের গ্রুপ প্রথমে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি ইজতেমা করবে। ওয়াসিফুল গ্রুপের ইজতেমা হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ইজতেমা করার জন্য তাদের বলা হয়েছে।

সীমিত পরিসরে করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথমেই বলেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটু দূরে বসা, মাস্ক পরা এবং টিকা নেওয়া ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না। প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষে সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনকে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। বাকি সময় দ্বিতীয় পর্বের জন্য মাঠ তৈরি করা হবে।

সভায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর