মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ছয় বছরে এগিয়েছে ৫৫ শতাংশ

রংপুর-এলেঙ্গা ছয় লেন সড়কের কাজে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ছয় বছরে এগিয়েছে ৫৫ শতাংশ

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ ছয় বছরে এগিয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। সড়কের দুই পাশের জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ প্রদান অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তারপরও কাজ চলছে ধীরগতিতে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-হাটিকুমরুল-এলেঙ্গা মহাসড়ক ছয় লেন প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ১৯০ কিলোমিটার। এর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথম দফায় কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। বর্তমানে ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বেড়ে তা ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। কাজ শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৬১ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২৬টি সেতু, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস ও ১১টি স্টিল ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এলেঙ্গায় ১ হাজার ৫৩৮ মিটার, কড্ডার মোড়ে ৩৯৬ মিটার ও গোবিন্দগঞ্জে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু ইপিজেড ও গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী এলাকায় নতুন করে ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়িতে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি সাসেক-২ (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক করপোরেশন) প্রকল্পের   অধীনে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত ছয় লেনের সড়কটির পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকায় জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সড়কটির রংপুরের অংশে বড়দরগাহ, রাউতপাড়া, শুকানচৌকি, লালদীঘি, জামতলা, সোনাকান্দর বাসস্ট্যান্ড, আংরার ব্রিজ, উজিরপুর, মজিদপুর, খেদমতপুর, তুলারাম মজিদপুর, মাদারহাট ও ধাপেরহাট, মিঠাপুকুরে শঠিবাড়ি, দমদমা এলাকার ৭০ কিলোমিটার এলাকার কাজ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। তবে সার্বিক সড়কের কাছের অগ্রগতি হয়েছে ৫৫ শতাংশ।

স্থানীয় সুধীজনদের মতে, এই মহাসড়কটির কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে রংপুর বিভাগের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে পণ্য আনানেওয়ার ক্ষেত্র সহজ হবে। সড়কটির নির্মাণকাজে কর্মরত চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আফিদ হোসেন বলেন, তার আওতাধীন এলাকার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়িতে দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ হয়েছে। তিনি বলেন, সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এ পর্যন্ত সড়কের কাজ এগিয়েছে ৫৫ শাতাংশ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর