রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে নিরাপদ রাখতে সমন্বিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন রুট আউট’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতের এই অভিযানে ৮, ১৪ ও ১৬ এপিবিএন এবং জেলা পুলিশের অস্ত্র ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদিতে সজ্জিত পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য একাধিক এডিশনাল এসপি, এএসপি ও পুলিশ পরিদর্শক নিয়োজিত ছিলেন।

সম্ভাব্য স্থানে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যা, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামি ছয়জন। মাদকসহ আটক হয়েছেন তিনজন। অন্যান্য মামলার আসামি চারজন। আটকদের মধ্যে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হন ২৮ জন।

মাদকসহ গ্রেফতার তিন আসামি হলেন ক্যাম্প-১৩ ব্লক-জি/২ এর মৃত নুর আহম্মদের ছেলে দিল হোসাইন (৪৪), ব্লক-ই/৪ এর মৃত কবির  আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (৩৯) এবং ক্যাম্প-১৮ ব্লক-এইচ/৬২ এর মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে শফিউল্লাহ (৫৩)। এসব তথ্য জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, ক্যাম্প এলাকায় সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ২৮ অক্টোবর রাতে ৮, ১৪ এপিবিএনের উদ্যোগে, জেলা পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণে ও ১৬ এপিবিএনের সহযোগিতায় ক্যাম্প-১৩, ১৮, ১৯, ১৭, ২০ ও ২০ এক্সটেনশনে নি-িদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। ক্যাম্প এলাকার অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনার সময় যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী ক্যাম্পের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য ক্যাম্পের সীমারেখায় জেলা পুলিশ পর্যাপ্তসংখ্যক অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করে।

ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং দুষ্কৃতকারীদের সমূলে নির্মূল করার লক্ষ্যে পরিচালিত ওই চিরুনি অভিযানে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার মো. আমির জাফর সার্বিক তদারক ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।