রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলে এমপি-মেয়র সমর্থকদের হাতাহাতি বর্ধিত সভা স্থগিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এমপি ও মেয়র সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ঘটেছে। গতকাল দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা স্থগিত করা হয় । উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, আগামী ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে বর্ধিত সভা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদসহ তার অনুসারীরা বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা শুরু করেন। এক পর্যায়ে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা সভায় প্রবেশ করলে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এমপি ও  মেয়র পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমরা আগামী ৭ নভেম্বর  জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরু করি। তখন এমপি সভাস্থলে প্রবেশ করলে আমি তাকে বসতে আহ্বান জানাই। তিনি না বসে আমাকে পাশ কাটিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করার সময় তার সঙ্গে আসা কিছু নেতা-কর্মীরা হঠাৎ করে আমাদেও নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। পরে আমরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা ও  জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমি সভাস্থলে প্রবেশ করি এবং প্রবেশ করেই দেখি মেয়র মাসুদুর রহমান বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করছেন। সভাস্থলে প্রবেশ করার পর আমার সঙ্গে থাকা সিনিয়র নেতাদের বসার চেয়ার না দিয়ে বহিষ্কৃত   নেতা-কর্মীরা চেয়ার দখল করে রাখেন। এ সময় বিষয়টির প্রতিবাদ জানালে মেয়রের লোকজন আমার সঙ্গে থাকা নেতাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের লাঞ্চিত করে।

হাতাহাতির ঘটনায় ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।

সর্বশেষ খবর