গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের কাউন্সিলে ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গতবারের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। তিনি ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদেও বিজয়ী হন। এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই, যে উন্নয়নের ধারা থেকে গাইবান্ধাও বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলায় বরাবরই দল সুসংগঠিত উল্লেখ করে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এখানে দলে কোনো বিভেদ বা কোন্দল নেই। তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের চারটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। অন্যটিতে জয় পেয়েছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। তবে মনোনয়ন পেলে আওয়ামী লীগ সব কটি আসনেই জয়ী হবে। বর্তমানে দলের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বিএনপি গঠন করার পর ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিরুদ্ধ পরিবেশেও গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমান সংসদ সদস্য হিসেবে জয় পেয়েছিলেন। এ এলাকার মানুষ চেতনাগত দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই এই জেলাকে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বলা যায়। তিনি বলেন, দলের জেলা সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজে হাত দেওয়া যায়নি। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ শেষ করা হবে। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে গতবারের নির্বাচিত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান টাকা-পয়সা ছড়িয়েও নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। কারণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন আন্তরিক ও ঐকবদ্ধ। আগামী সংসদ নির্বাচনেও দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। বরং সে রকম নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ আগামীতে জয়ী হবে। তিনি বলেন, আগামীতে দল ক্ষমতায় এলে গাইবান্ধার বালাসী বন্দরে টানেল নির্মাণ ও জেলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে।
