মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের পর্দা নামল

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের পর্দা নামল

নাটক মঞ্চায়ন, নাচ, গান ও আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে রাজধানীতে শেষ হলো এগারো দিনের ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’।

সমাপনী আসরে গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী) প্রযোজিত নাটক ‘তপস্বী তরঙ্গিনী’ পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাট্যকেন্দ্র প্রযোজিত নাটক ‘পুণ্যাহ’। স্টুডিও থিয়েটার হলে ছিল এথিক প্রযোজিত নাটক ‘হাঁড়ি ফাটবেই’ এবং মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় সিলেটের কথাকলি থিয়েটারের নাটক ‘চে’র সাইকেল’।

একই সময়ে, একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে গীতি আলেখ্য ‘বাংলাদেশ, রক্তে ভেজা নাম’ পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন পঞ্চভাস্কর। আবৃত্তি প্রযোজনা ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন স্বনন, ঢাকা। এর আগে, জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সমাপনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রফিকুল ইসলাম, নাট্যাভিনেতা আহম্মেদ গিয়াস, মানজার চৌধুরী সুইট, নৃত্যশিল্পী শেখ মাহফুজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন গঙ্গ-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। উৎসবের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মুক্ত মঞ্চে বাউল গান পরিবেশন করে বাউলশিল্পীরা। ২১ অক্টোবর শিল্পকলা একাডেমির চার মিলনায়তন ও মহিলা সমিতি মিলনায়তনসহ একযোগে রাজধানীর পাঁচ মিলনায়তনে শুরু হয় এগারো দিনের এই উৎসব। বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এই উৎসবে অংশ নেয়। এবারের আয়োজন ছিল উৎসবের দশম আসর।

 

 

 

সর্বশেষ খবর