বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনার তিন গুণ বেশি মৃত্যু ক্যান্সারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে এখনো ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ  হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রাশেদা আকতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ প্রমুখ। সরকার আট বিভাগে ক্যান্সার সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারলে, এই রোগ থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার চিকিৎসা রয়েছে। আটটি বিভাগীয় ক্যান্সার সেন্টারে আমরা সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পর্যায়ক্রমে প্রতি জেলায় মেমোগ্রাফি মেশিন প্রদান করব। গত এক বছরে করোনার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষ ক্যান্সারে মারা গেছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রায় ১৩ হাজার নারী প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন প্রায় সাত হাজার মানুষ। জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আট হাজার নারী আক্রান্ত হন, এর মধ্যে মারা যান পাঁচ হাজার। বছরে বাংলাদেশে ক্যান্সারে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেড় লাখ লোক নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।

১৫-১৮ লাখ ক্যান্সারের রোগী বাংলাদেশে রয়েছে। তিন বছরে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে, গত এক বছরে ক্যান্সারে তার চেয়ে তিন গুণ বেশি রোগী মারা গেছেন। তিনি বলেন, ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের জন্য ৫৭০টি সেন্টার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রাথমিক স্ক্রিনিং করা হয়। এ ছাড়া ক্যান্সার পজিটিভ রোগীর জন্য ৪৩টি কলোনসকপি সেন্টার করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা রয়েছে ৫০০টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিং সেন্টার করার। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর