শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নতুন ভাবনা

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু কাল

আকতারুজ্জামান

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের একটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত সেটকোড বাদ দিয়ে অন্য সেটে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতেও নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত।

নতুন সিদ্ধান্ত মেনেই আগামীকাল থেকে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু কভিড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছরের পরীক্ষাটি পেছানো হয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় প্রশ্নপত্র উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর পর পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্র সর্টিংয়ের সময় উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও জেলা পর্যায়ে জেলা ট্রেজারি অফিসারের প্রতিনিধি বিষয়টি তদারকি করতেন। এবার উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে উপস্থিত হয়ে প্রশ্নপত্রের সর্টিং কার্যক্রম মনিটরিং করবেন। আর জেলা পর্যায়ে প্রশ্ন সর্টিংয়ের সময় উপস্থিত থাকবেন জেলা ট্রেজারি অফিসার বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড থেকে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষার দিনগুলোতে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তা ও কেন্দ্রপ্রধানের উপস্থিতিতে সেটকোড মিলিয়ে প্রশ্নপত্রের সেটকোড নির্ধারণ করা হবে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছরের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, গতবার (২০২১) পাসের হার বেশি হওয়ায় এ বছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অনেক কমেছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমার কারণেই এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল প্রতিবেদককে বলেন, প্রশ্নপত্র উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। পরীক্ষার অন্য সরঞ্জামাদিও কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। কেন্দ্র সচিবদের সঙ্গে কয়েকটি মতবিনিময় করা হয়েছে। আমরা বেশকিছু নির্দেশনাও দিয়েছি। তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হতে আবার কেউ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও এটি করে থাকেন। বর্তমান পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এমন গুজবে কান দেবেন না।

সর্বশেষ খবর