শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মনিটরিং নেই বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনিটরিং নেই বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

বাজার দর

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তবে দাম এখনো চড়া আগের মতোই। ক্রেতারা বলছেন, মূলত যথাযথ বাজার মনিটরিং না করায় এসব শাক-সবজি চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে চাল-ডাল, চিনি, মুরগি, ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ-মরিচ, মাছ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সিংহভাগ পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। চড়া দামে এসব পণ্য কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পড়ছে অস্বস্তিতে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু আর মুলা বাদে বেশির ভাগ সবজিই এখন কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকার বেশি দামে। এর মধ্যে কয়েকটির দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০, গোল বেগুন ১০০, টমেটো ১৪০, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া ও লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০-৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটোল ৬০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ ও ধুন্দল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। দেশি পিঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি। কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালি ৩০০ আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিতে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ এবং খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন-চার দিনে বিভিন্ন ডালের দামও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢেঁঁড়স ও পটোলের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শীতের আবহ থাকায় লেবুর দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। রামপুরা বাজারে কথা হয় ক্রেতা মাহবুব মমতাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ যে দামে কিছু কিনছি, কোনো কারণ ছাড়াই কাল সেটা বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বাড়ছে, কিন্তু আয় তো বাড়ছে না। বাজার মনিটরিং না থাকায় ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন।

সর্বশেষ খবর