গাজীপুরের কালীগঞ্জে সোলাইমান নামে তিন বছরের এক শিশুকে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা মো. কাজলকে (৩৯) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। কাজল কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওয়ার্কশপ শ্রমিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শামীম মিয়া।
কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. শামীম মিয়া নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাজলের স্ত্রী পাশের রান্নাঘরে রাতের খাওয়া-দাওয়া সারতে যান। এ সময় কাজল বাড়িতে প্রবেশ করে তার শয়নকক্ষে শিশুপুত্র সোলাইমানকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাকে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে দরজা বন্ধ করে ঘরে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী এসে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ধাক্কাধাক্কি করলেও তা খোলেননি কাজল। পরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে শিশু সোলাইমানকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। পাশে ছিল ধারালো ব্লেড। পরে সোলাইমানের মায়ের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে কাজলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সোলাইমানের লাশ উদ্ধার ও কাজলকে আটক করে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের চাচা মো. আজগর বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় কাজলকে গ্রেফতার দেখিয়ে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, শিশু সোলাইমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদী ও গ্রেফতার কাজলের ভাই আজগর জানান, কাজল মানসিকভাবে কিছুটা বিকারগ্রস্ত। মাঝে মধ্যেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। কাজলের আট বছরের আরেকটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
