বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুণ্যস্নানে শেষ হলো রাস উৎসব

প্রতিদিন ডেস্ক

পুণ্যস্নানে শেষ হলো রাস উৎসব

উৎসব- কেউ বলেন ‘কার্তিক ব্রত’। কোথাও এ উৎসবের নাম ‘রাখের উপবাস’। অনেকে ‘গোসাইর উপবাস’ ও ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বালন’ উৎসব নামেও জানেন। বলা হয়, বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচতে কার্তিক মাসে উপবাস পালন করে আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রদীপ ও ধূপ জ্বালাতে বলেছিলেন বাবা লোকনাথ। তখন থেকে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ ১৫ দিনের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ উৎসবটি পালন করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর স্বামীবাগের লোকনাথ আশ্রম। ছবি - রোহেত রাজীব

দেশের বিভিন্ন স্থানে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব রাসপূজা ও মেলা। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষায় ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী পুরোহিত এনে সৈকতে মানত পূরণ ও পূজা-অর্চনা করেছেন। স্নান শেষে পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন তারা। শুধু পুণ্যার্থীরাই নয়, নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলিত হয় রাসমেলায়। যার কারণে উৎসবস্থল পরিণত হয় জন-মানুষের মিলনমেলায়। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, রাস উৎসব ঘিরে দুই দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেন পুণ্যার্থী-ভক্তরা। সমুদ্রসৈকতে আগত পুণ্যার্থী-ভক্তরা রাস পূর্ণিমা তিথিতে মধ্য রাতে নাম সংকীর্তন, পূজা-অর্চনা, পদাবলী কীর্তন শেষে উষালগ্নে করেন পুণ্যস্নান। গঙ্গাস্নান করতে আসা ভক্তরা বলেন, রাস পূর্ণিমা তিথিতে গঙ্গাস্নানেই ইহলোকের জাগতিক পাপমোচন ও রোগমুক্তি হয় পুণ্যার্থীদের। আর প্রতি বছরের মতো এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে তীর্থযাত্রীদের পদভারে মুখরিত হয় সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। ২০০ বছর যাবৎ শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে ধারণ করেই কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাসমেলা বা রাস উৎসব।

সর্বশেষ খবর