বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বুয়েট শিক্ষার্থী পরশ হত্যার ক্লু মিলছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুয়েট শিক্ষার্থী পরশ হত্যার ক্লু মিলছে না

ফারদিন নূর পরশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার জট খুলছে না। কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যার পেছনে কার সম্পৃক্ততা রয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত না প্রেমঘটিত কারণে হয়েছে সেই প্রশ্ন এখন তার স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও তদন্ত কর্মকর্তাদের মনে। এদিকে, এ ঘটনায় ডিএমপির রামপুরা থানায় আজ হত্যা মামলা করতে পারেন পরশের বাবা কাজী নুরুউদ্দিন।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরশ হত্যাকান্ডের বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে নানামুখী তদন্ত চলছে। রামপুরা, নারায়ণগঞ্জসহ আরও কিছু এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফারদিনের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যকান্ড। তাদের দাবিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সন্দেহের তালিকায় তার প্রেমিকাকেও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রামপুরায় প্রেমিকার থেকে আলাদা হওয়ার পর ফারদিন কোন দিকে গিয়ে কোন কোন এলাকায় অবস্থান করেছিল সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা করার জন্য এখনো কেউ থানায় যোগাযোগ করেনি। তবে, পরশের বাবা মামলা করবেন বলে শুনেছি।

এ ছাড়া হত্যার রহস্য নিয়ে এখনো সঠিক কিছু জানতে পারিনি। তবে আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। বিভিন্ন ক্লু নিয়ে কাজ করছি। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত (গতকাল) উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তবে এখনো কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। পুলিশ, ডিবির পাশাপাশি ফারদিন হত্যার তদন্ত করছে র‌্যাব। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তারাও এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ফুটেজ আমরা এখনো পাইনি। অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু কোনো ক্লু নাই। চেষ্টা করছি কী কারণে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে এবং কারা জড়িত তার রহস্য উদঘাটন করার জন্য।

ফারদিনের বাবা কাজী নুরুউদ্দিন গতকাল বলেন, ‘ছেলের শোকে আমরা সবাই কাতর। আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না। তাই আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রামপুরা থানায় মামলা করব। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। সব সংস্থাই আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। আশা করি তারা রহস্য উন্মোচন করতে পারবে।’ প্রসঙ্গত, নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলের পেছন দিক থেকে বুয়েটের ছাত্র পরশের লাশ উদ্ধার করা হয়। ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার। নিখোঁজ হওয়ার আগে তার বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন ফারদিনের বাবা।

সর্বশেষ খবর