শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংশোধন হচ্ছে ভোক্তা অধিকার আইন, দ্বিগুণ হবে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ যেসব অপরাধে জরিমানার বিধান রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আইন সংশোধন হচ্ছে। নতুন আইনে শাস্তির আওতা বাড়ছে না। তবে জরিমানার পরিমাণগুলো দ্বিগুণ করা হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জাতীয় প্রেস ক্লাব যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ক্লাবের প্রশিক্ষণ ও পেশার মান উন্নয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মাঈনুল আলম বক্তব্য রাখেন। এ সময় যুগ্ম-সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তা ডিজি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। এর পরও প্রতিদিন সারা দেশে ৪০ থেকে ৫০টি অপারেশন হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজার এতটা বিস্তৃত, এর ১০ গুণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রসাধনীর ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টা ভয়াবহ। কেননা বৈধভাবে এ ব্যবসায় ব্যবসায়ীদের অনীহা আছে। সঠিক পরিমাণে ভ্যাট দিয়ে, অন্যান্য সব ঠিক রেখে বৈধভাবে ব্যবসা করে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না, বলছেন অনেকে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরেও কিছু নকল প্রোডাক্ট তৈরি করা হচ্ছে।

 মহাপরিচালক বলেন, ‘অনেকেই চান ভোক্তা অধিদফতর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কিন্তু আমরা এখনো সেভাবে প্রস্তুত নই। প্রশাসনিক আইন জুডিশিয়াল আইন নয়। আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অফিসাররা মাজিস্ট্রেট নন, তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। তারা শুধু এ আইনে জরিমানা করতে পারেন। মামলা করতে পারেন বাদী হয়ে। নিজে শাস্তি দিতে পারেন না। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা সবাই দিনশেষে ভোক্তা। বাজারে পণ্য কিনতে গেলে আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আইনে কী আছে, সেটা জানতে হবে।’ তিনি বলেন, ভোক্তা আইনটি এখন সংস্কার প্রয়োজন। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তবে এ সংস্থা এখন ভালো কাজ করছে। অধিদফতরটি কোনো দল দেখে না। যেখানে অভিযান চালাচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক কে সে খোঁজ নেয় না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিকরাও একসঙ্গে একই কাজ করেন। তিনি বলেন, ভোক্তাকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতারিত হলে অভিযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদেরও এ আইনে প্রচার করতে হবে, যেন মানুষ প্রতারণার প্রতিকার পায়।

সর্বশেষ খবর