শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে প্রতিদিন চলবে ৮৮ ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

যমুনা নদীতে বিদ্যমান সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে দৈনিক চলাচল করবে ৮৮টি ট্রেন। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দেশের বৃহত্তম রেলসেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালের আগস্টে। বর্তমানে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ শতাংশ। গতকাল বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান সেতুর কাজ পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলরুটের অন্যতম এ সেতুটির উদ্বোধন হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে বৈপ্লবিক উন্নতি হবে। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করবে এই সেতু। যাত্রীর পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে বাঁচবে সময় ও অর্থ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই রেলসেতু দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে ট্রেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় গতি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিষিদ্ধ রয়েছে ব্রডগেজ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলও। মাসুদুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পে জাইকা জাপানি মুদ্রা ইয়ানের মাধ্যমে অর্থায়ন করছে। সেজন্য চলমান ডলারের কোনো সংকট এ প্রকল্পে প্রভাব ফেলবে না। এখনই ব্যয় বাড়ারও আশঙ্কা নেই। প্রকল্পে এক হাজার শ্রমিক কাজ করছে, যার মধ্যে ৩০০ জন বিদেশি। সবকাজ ঠিকভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নেওয়া প্রকল্পে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। জাইকা দেশের বৃহত্তম এ রেল সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফা ডিপিপি সংশোধনের পর সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মোট বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে সে দেশের সরকার এ প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মত হয়। ২০১৭ সালের মার্চে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর