শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল ওষুধ তৈরি করা অসাধু চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ। এ সময় মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৮০ পিস বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ জব্দ করা হয়।

ডিবি বলছে, গত এক বছরে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৫টি মামলা করা হয়েছে। ৩০ জনের বেশি ভেজাল ওষুধ কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির মতিঝিল বিভাগের একটি টিম বুধবার রাতে মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোড এলাকা থেকে একটি ওষুধের কার্টনসহ ইকবালকে আটক করে। কার্টনের ভিতর কী আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওষুধ আছে। পরবর্তীতে কার্টন খুলে ভেজাল ২৫ হাজার ৪৮০ পিস প্যান্টনিক্স ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে ২ কার্টন ভেজাল সেকলো ক্যাপসুল জব্দ করা হয়। ওই কার্টনে প্রায় ৩৬ হাজার পিস ক্যাপসুল ছিল। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোডে ইকবালের ভাড়া করা গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামিদামি ওষুধ কোম্পানির সেকলো, প্যান্টনিক্স, লোসেকটিল, ফিনিক্সসহ বিভিন্ন নামের ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুন বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নকল ওষুধ তৈরি করে কুমিল্লা, ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে সরবরাহ করে আসছিল। ইকবাল নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. আতিয়ারের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে নকল ওষুধ সংগ্রহ করতেন। সেগুলো কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করতেন।

 এই ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির প্রতারক চক্র ভেজাল ওষুধ তৈরি করছেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু ইউনানি কোম্পানি আছে যারা ভেজাল ওষুধ তৈরি অথবা সহজলভ্যভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সস্তা বিজ্ঞাপন দিয়ে ওষুধ বিক্রি করছে। তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৮০টি সন্দেহজনক ইউনানি কোম্পানির ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে তথ্য দিয়েছি। সেই তথ্যটা তারা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না তা আমাদের জানা নেই। এক্ষেত্রে তারা যদি আমাদের সহায়তা চান আমরা করব। গ্রেফতার ইকবালের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর