শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি

ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি

‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’ (আইসিপিসি) ২০২২-এর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। একই সঙ্গে তারা হয়েছেন উত্তর আমেরিকা অঞ্চলেরও চ্যাম্পিয়ন। ১২টি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে তারা সমাধান করেছে ১১টির। এর মধ্যে ‘সমস্যা-সি’ সমাধান করেছে ২৫ মিনিটে, ‘সমস্যা-এল’ সমাধান করেছে ৩০ মিনিটে, ‘সমস্যা-এ’ সমাধান করেছে ৫০ মিনিটে আর ‘সমস্যা-ই’ সমাধান করেছে ১৯৬ মিনিটে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের গতকাল ছিল চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। এবারের ওয়ার্ল্ড ফাইনাল চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এমআইটি জিতেছে একটি চ্যাম্পিয়ন কাপ, গোল্ড মেডেল ও ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটির ৪৫তম আসরের। আর এবারই প্রথমবারের মতো আয়োজক দেশ হওয়ার গর্ব অর্জন করে বাংলাদেশ। ৪৬তম আসর বসবে মিসরে। এবাবের আসরের দ্বিতীয় হয়েছে পিকিং ইউনিভার্সিটি। তারা ১০টি সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। একই সঙ্গে তারা হয়েছে এশিয়া ইস্ট চ্যাম্পিয়ন। এরপর ৯টি সমস্যার সমাধান করে তৃতীয় হয়েছে দ্য ইউনিভার্সিটি অব টোকিও। একই সঙ্গে তারা হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক চ্যাম্পিয়ন। সবার প্রথম তারা জি এবং জে নম্বর সমস্যা সমাধান করে। বিজয়ীদের নাম ঘোষণার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা হয়তো সেই অর্থে ধনী দেশ নই কিন্তু আমাদের আছে খুবই পরিশ্রমী এক জনগোষ্ঠী। আমরা পরিশ্রম করতে পারি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই সময়ের ডিজিটাল টুলস। এসবই আমাদের জন্য বড় হাতিয়ার।’

অন্যদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্টার্টআপ এবং নতুন উদ্ভাবনী ধারণার জন্য বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠছে, যার ফলে স্টার্টআপ শিল্পের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগকে আঁকড়ে ধরছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা ভোগ করছে। ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা প্রতি বছর ২০ হাজারেও বেশি আইটি এবং আইটিইএস গ্র্যাজুয়েট পাচ্ছি। এবাবের আইসিপিসি আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে এগুলো আমাদের অনেক কাজে লাগবে।’

সেরা ১২ দল : ১. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), ২. পিকিং ইউনিভার্সিটি, ৩. দ্য ইউনিভার্সিটি অব টকিও, ৪. সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ৫. ইটিএইচ জুরিখ, ৬. ইকোল নরমাল সুপিরিয়র ডি প্যারিস, ৭. কার্নিগিও মিলন ইউনিভার্সিটি, ৮. ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্শ, ৯.  ন্যাশনাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকস, ১০. সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি- রাশিয়া, ১১. ইউভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ১২. ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ভিএনইউ)।

সর্বশেষ খবর