শিরোনাম
শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ফিরবেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

---- জি কে গউছ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ফিরবেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ বলেছেন, ভোটের অধিকারের জন্য বাংলাদেশের মানুষ ৯ মাস যুদ্ধ করেছে। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছে কারও গোলামি করার জন্য নয়। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে ঘরে ফিরবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা তিনবার নির্বাচিত মেয়র (বর্তমানে পদত্যাগকারী) জি কে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, গণতন্ত্র হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ দিশাহারা। সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বিশাল বড় রাজনৈতিক জনপ্রিয় দল। এখানে লোকসংখ্যা বেশি, পদ-পদবি কম। তাই এখানে প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু প্রতিহিংসা নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হবিগঞ্জে আমাদের দলে কোনো দিন পদ-পদবির জন্য একজন কর্মী আরেকজন কর্মীর ওপর ঢিল ছুড়েছে এমন ঘটনা নেই। আমরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ঐক্যবদ্ধ আছি। এ ছাড়া ৯টি উপজেলা ও ছয়টি পৌরসভা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি গঠিত। ইতোমধ্যে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ৯টি ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি ইউনিটের সম্মেলন রেডি হয়ে আছে। বিভাগীয় সমাবেশ চলমান থাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা সময় দিতে পারছেন না। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ছয়টি সম্মেলন সম্পন্ন করে জেলা বিএনপির সম্মেলন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।’ জি কে গউছ বলেন, ‘নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো তাদের সংসার চালাতে পারছে না। সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ অপেক্ষা করছে। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বলেননি, তার রাষ্ট্রে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ আসছে। কারণ তিনি জানেন, বাংলাদেশের কী পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা এখন আর ঘুষ বা কমিশন বাণিজ্যের টাকা নেন না, তারা ডলার নেন। ব্যাংকে ডলার সংকট। কারণ ডলার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায়। যে কারণে দেশে ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আর বাংলাদেশে ফিরে আসবে না। এমন নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর