শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন

সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ১৮তম সীমান্ত সম্মেলন বুধবার শেষ হয়েছে। বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডারস (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলসের (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) মধ্যে চার দিনব্যাপী ওই সম্মেলন ১৩ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় শুরু হয়।

বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়। অন্যদিকে, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. অতুল ফুলজেলের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়।

বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. অতুল ফুলজেলে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কার্যকর ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)’ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধান এ বি এম নওরোজ এহসান সীমান্ত সমস্যা সমাধানে জয়েন্ট ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গাইডলাইন-১৯৭৫ অনুসরণ এবং কার্যকরভাবে সিবিএমপি বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা/আহত/মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় যৌথ টহল পরিচালনা, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও বেগবান করা এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়াসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ বিশেষ করে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ও নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ইত্যাদি পাচার রোধ, স্বর্ণ, অস্ত্র ও গরু চোরাচালান রোধে উভয় বাহিনীর মধ্যে তাৎক্ষণিক ও দরকারি তথ্য আদান-প্রদান এবং এ ধরনের অপরাধ নির্মূলে এর সঙ্গে জড়িত ও আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রম/অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে বিরত রাখতে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ ও অননুমোদিত নির্মাণ কাজ না করার ব্যাপারে এবং বন্ধ থাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। উভয় পক্ষই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন সেমিনার/সিম্পোজিয়াম/ওয়ার্কশপ আয়োজন করার ব্যাপারে পারস্পরিক সম্মতি জ্ঞাপন করেছে।

সর্বশেষ খবর