বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভয়াবহ যুদ্ধের শঙ্কা খেরসন ঘিরে

প্রতিদিন ডেস্ক

ভয়াবহ যুদ্ধের শঙ্কা খেরসন ঘিরে

রুশ সেনাদের হাত থেকে গত সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন শহর পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন সেনারা। তবে শহরটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন সরকার। সঙ্গে মাইকোলাইভের বাসিন্দাদেরও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জ্বালানি সংকটের কারণে এ দুই শহরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আলজাজিরা

বিশ্বের অন্যতম একটি শীতপ্রধান দেশ ইউক্রেন। শীতকালে দেশটিতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। ইতোমধ্যে রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে তুষারপাত হয়েছে। ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় বাধ্য করতে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এখন দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় তাদের ৫০ ভাগ জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

খবরে বলা হয়, রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কারণে খেরসন ও মাইকোলাইভে জ্বালানি স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বেশির ভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে শীতে টিকে থাকার মতো ও ঘর উষ্ণ রাখার মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাবেন না বাসিন্দারা। এ কারণে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দক্ষিণাঞ্চলের এ দুটি শহরের বাসিন্দাদের কেন্দ্রীয় ও পুব দিকের নিরাপদ স্থানগুলোয় সরে যেতে বলেছেন। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানান, যেসব বাসিন্দা শহর দুটি ছেড়ে আসবেন তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার। এ ছাড়া নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

একে অন্যকে দুষছে রাশিয়া-ইউক্রেন : জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চারপাশে নতুন করে গোলাবর্ষণ শুরুর পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শনিবার ও রবিবার জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানায় আইএইএ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনারা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে গোলা ছুড়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত আণবিক শক্তি সংস্থা রোসাটম সোমবার এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছে, জাপোরিঝঝিয়ায় একটি বিপর্যয় ঘটাতে চায় ইউক্রেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের পারমাণবিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এনার্জোয়েটমের অভিযোগ, এ কাজের পেছনে জড়িত রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করতেই তারা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে হামলা করেছে।

সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ : চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ-অস্ত্র সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ। ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য স্পেনের তোলেদা শহরে নতুন একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। সোমবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর এক বৈঠকে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে ইতালি সরকার দেশটির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে নতুন একটি আইন পাস করতে আহ্বান জানিয়েছে। এ আইনের আওতায় দেশটি ২০২৩ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে সরাসরি সামরিক ও বেসামরিক সহায়তা দিতে পারবে।

 

সর্বশেষ খবর