ডিসেম্বরে আবারও সমন্বয় করা হলো রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলার ও জ্বালানির দামের সংকটের মধ্যে এলপিজির দাম ওঠানামা করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি কেজিতে এলপিজির দাম বাড়ল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। যা নভেম্বর মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৬৮ ভাগ বেশি। আর এই হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫১ থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৯৭ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে বেড়েছে অটোগ্যাসের দামও। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে এ দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। এ সময় সচিব খলিলুর রহমান খান, সদস্য মোকবুল-ই ইলাহি, আবু ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নভেম্বরের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৬১০ মার্কিন ডলার এবং ৬১০ মার্কিন ডলার। ডিসেম্বরে তা বেড়ে ৬৫০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি টন ৬৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এ দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, গত মাসের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ৬ দশমিক ৫৫ ভাগ বেড়েছে। ১৬টি প্রতিষ্ঠানের এলসি সেটেলমেন্টের ভিত্তিতে ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৫ টাকা ২২ পয়সা। যা গত মাসের তুলনায় ১ টাকা ৩ পয়সা কম। গত মাসে ছিল ১০৬ টাকা ২৫ পয়সা। এদিকে ডিসেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৬০ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন, যা গত মাসে ছিল ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা। তবে বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দাম প্রায় একই আছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় নভেম্বরে প্রতি লিটারের দাম ছিল ২২ পয়সা। এবার তা এক পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩ পয়সা। ১২ কেজি সিলিন্ডার ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন হয়নি। সেটি আগের দাম ৫৯১ টাকাই রয়েছে।
