রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ে উৎসব

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে উৎসব

খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ঘিরে পাহাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ভুক্ত বম, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্যে চলছে এ উৎসব। আলোকসজ্জা করা হয়েছে গির্জাগুলো। জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত গ্রামগুলো সেজেছে বর্ণাঢ্য সাজে। এ ছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের স্থানের আদলে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে। ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো ‘তারকা’ চিহ্নিত আলোকসজ্জা।

বসতবাড়ির আঙিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারুকাজ। এ ছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যিশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে এ উৎসবে মেতেছেন বাঙালিরাও। গত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কেটে বড় দিন উৎসবের সূচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার বিভিন্ন খ্রিস্টানপল্লীতে এ উৎসব পালন করা হবে। এর মধ্যে বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি চাকমা খ্রিস্টানপাড়া ও পুরানপাড়া, রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যিশুটিলা, রিজার্ভ বাজার, কাপ্তাই উপজেলা, আনন্দ বিহার এলাকা, লুসাই পাহাড়, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উজানছড়ি, বেটলিং, কংলাক, লুইলুই, উল্ডলংকর গির্জাগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে দিনব্যাপী ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হবে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন  করেছে প্রীতিভোজের। অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যাতে আনন্দ-উল্লাসে বড় দিন পালন করতে পারেন তার জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শান্তিতে বাস করতে পারে প্রভু যিশুর জন্মদিনে এ প্রার্থনা করছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর