বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দূষণে বিপন্ন তুরাগ

আফজাল, টঙ্গী

দূষণে বিপন্ন তুরাগ

থামেনি তুরাগ নদের কান্না। দখল, দূষণ আর নাব্য সংকটে দিন দিন অস্তিত্ব হারাচ্ছে এ নদ। ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে এর পাশ দিয়ে হাঁটতে হয় নাক চেপে। তুরাগ নদের দিকে তাকালে মনে হয় এ যেন ময়লার ড্রেন!

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদফতর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। বিআইডব্লিউটিএ তুরাগ নদের দখল, দূষণ রোধে উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। স্থানীয়রা জানায়, এক সময় তুরাগ নদ দিয়ে নৌযান চলাচল করত। এ নদে গোসল কিংবা পানি দিয়ে রান্নাবান্না করা হতো। নদে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করত অনেক মানুষ। এখন গোসল কিংবা পানি ব্যবহার তো দূরের কথা, ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে নদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। নৌপথে চলাচলের সুবিধার্থে টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় ২০১২ সালের জুনে প্রায় ৫ কোটি ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নদী বন্দর। দখল-দূষণ আর নাব্য সংকটে তুরাগ নদ এখন সরু হয়ে গেছে। ফলে নদীবন্দরটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে।

টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, তুরাগ নদের পানি এখন আর আগের মতো নেই। এখন এ নদের পানি কেউ ব্যবহার করতে পারে না। এ বিষয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। সব ওয়াশিং ও ডায়িং কারখানায় শতভাগ ইটিপি ব্যবহার করলে হয়তো এ নদের পরিবেশ এমন হতো না।

টঙ্গী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, এ নদের গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিং চলছে। এ কাজ শেষ হলে হয়তো নদের পানি আর কালো থাকবে না। তবে বিভিন্ন কলকারখানার মালিকরা তাদের কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্য এ নদে ফেলে পানি দূষিত করছে। নদের পরিবেশ নষ্ট করছে। নদ বাঁচাতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ অধিদফতরকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর