শিরোনাম
শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকিতে ঢাকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ

মণিলাল আইচ লিটু

ঝুঁকিতে ঢাকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট গ্রুপ অ্যান্ড হেয়ারিং ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মণিলাল আইচ লিটু বলেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশে শব্দদূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঢাকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ শব্দদূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন হাতুড়ে চিকিৎসা, কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোসহ নানা কারণে মানুষের কান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে ব্যস্ত জায়গায় শব্দমাত্রা সর্বোচ্চ ৬০-৭০ ডেসিবেল থাকতে হবে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময় গবেষণা করে দেখেছি, ঢাকার ফার্মগেট, শাহবাগ, মিরপুর, পল্টন, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, গাবতলী, মহাখালীর মতো ব্যস্ত এলাকায় শব্দের মাত্রা সব সময় ৯০-১০০-এর বেশি থাকে। শব্দদূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে। হেডফোন ব্যবহারেও মানুষকে সচেতন হতে হবে। উচ্চশব্দ শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে। শব্দের অসহনীয় মাত্রার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগ দেখা দেয়। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকার বেশিরভাগ মানুষের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ডা. মণিলাল আইচ লিটু আরও বলেন, ‘আকস্মিক উচ্চশব্দ মানবদেহে রক্তচাপ ও হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়, কণ্ঠনালির প্রদাহ, আলসার ও মস্তিষ্কের রোগও হতে পারে। উচ্চশব্দ সৃষ্টিকারী হর্ন মোটরযানের চালককে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে যান চালাতে উৎসাহিত করে। কল-কারখানাসহ অতি শব্দপ্রবণ এলাকায় যারা কাজ করেন তাদের কানে সাউন্ড ইনসুলেশন ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস পরপর কানের পরীক্ষা করানো উচিত। শব্দদূষণে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাফিক পুলিশ, কল সেন্টারে নিয়মিত কথা বলা তরুণ-তরুণীরা। কল সেন্টারে ৩০ মিনিট কথা বলার পর ২০ মিনিট কানের বিশ্রাম দেওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর