সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। ছাতক পৌরশহরের ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন, সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে। রাজ্জাক, জসিম, কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতকে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে এক যুবক-যুবতীকে টিকটক ভিডিও করার সময় বাধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক, আহমদ আলীর ছেলে মান্নাসহ তাদের সহযোগীরা। এ নিয়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে মামুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ ঘণ্টার দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্বর এলাকায় কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। ছাতক থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
